খন্দকার বিপ্লব মাহমুদ উজ্জল পিএইচএফ
সভাপতি
জনাব খন্দকার বিপ্লব মাহমুদ পারিবারিক বলয়ে ‘উজ্জল’ নামে সমধিক পরিচিত। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় ফেডারেশনের সভাপতি গুরু দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর পিতার নাম আলহাজ খন্দকার বিল্লাল হোসেন এবং মাতার নাম আলহাজ রাবিয়া বেগম। তিনি টাঙ্গাইল জেলার অন্তর্গত মির্জাপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী গোড়াই ইউনিয়নের হলিদ্রাচালা গ্রামে ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।খন্দকার বিপ্লব মাহমুদ উজ্জল সম্ভান্ত মুসলিম জোতদার পরিবারের সন্তান। সমাজ সেবায় তার পিতার যথেষ্ট সুখ্যাতি রয়েছে। তিনি হলিদ্রচালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া শুরু করলেও পরবর্তীতে মামার বাড়ির কামারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ৫ম শ্রেণি পাস করেন। পরে হাড়িয়া বহুমখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সপ্তম শ্রেণিতে বরাটি নরদানা বাংলাদেশ উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং ওই স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন। তারপর মির্জাপুর কলেজ থেকে এইচএসসি এবং স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।সংগঠক হিসেবে খন্দকার বিপ্লব মাহমুদ উজ্জলের সুখ্যাতি রয়েছে। সংগঠক সম্পৃক্ততার মাধ্যমে দেশকে মমৃদ্ধ করাই তাঁর জীবনের ব্রত।
মির্জাপুর উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি লিঃ’র ব্যবস্থাপনা কমিটিতে সরকারি প্রতিনিধি সদস্য ও পরবর্তীতে সহ-সভাপতি এবং সভাপতি হিসেবে দুই মেয়াদে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। হলিদ্রাচালা কৃষক সমবায় সমিতি ও হলিদ্রাচালা বিশারচালা সোনালি যুব সংঘের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। হলিদ্রাচালা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন প্রকল্পের সভাপতির ও হলিদ্রাচালা বিপ্লব যুব উন্নয়ন সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।এছাড়াও মির্জাপুর উপজেলা বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়,স্কুল,কলেজ ও মাদ্রাসা এবং এতিম খানার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য।
আরও যে সকল সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে তিনি:
১. মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের দাতা সদস্য।
২. টাঙ্গাইল শিল্পকলা একাডেমির দাতা সদস্য।
৩. মির্জাপুর শিল্পকলা একাডেমির সদস্য।
৪. টাঙ্গাইল করোনেশন ড্রামাটিক ক্লাবের সদস্য।
৫. মির্জাপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের গভানিংবডির দাতা সদস্য।
৬. মির্জাপুর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য।
৭. আলহাজ শফিউদ্দিন এন্ড একাব্বর হোসেন টেকনিক্যাল কলেজের দাতা সদস্য।
৮. বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) পরিচালনা পর্ষদ সদস্য।
পল্লীর কৃষকদের সেবা করাই যেন তার জীবনের ব্রত। কৃষকদের নানা প্রতিবন্ধকতা দুর করে উন্নত সমাজ বাস্তবায়নে রয়েছে তার আগ্রণী ভূমিকা। এক কথায় বলতে গেলে তিনি সত্যিকারেই কৃষকদের প্রকৃত বন্ধু। যার ফলশ্রুতিতে তিনি কৃষকদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন ও সমাবায় ফেডারেশনের দুইবার ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া বাংলাদেশ জাতীয় পল্লী উন্নয়ন ও সমাবয় ফেডারেশনের সহ সভাপতি ও বর্তমানে সভাপতির গুরু দায়িত্ব পালন করছেন।
সামজিক অবক্ষয় দুর করে উন্নত সমাজ বাস্তবায়নে সংগঠনের ভূমিকা অনস্বীকার্য। নানা প্রতিকুলতার পথ পেরিয়ে মানবতার কল্যাণে পথ হাঁটছেন খন্দকার বিপ্লব মাহমুদ উজ্জল। ২০১৭ খ্রিস্টাব্দে ওসমানী কৃষক পদক, ২০১৮ খ্রিস্টাব্দে সমাজ সেবায় নেলসন ম্যান্ডেলা পদক এবং ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে ডা. আব্দুল হামিদ কৃষি পদক লাভ করেন।
তিনি একজন দক্ষ খেলোয়ার ও ক্রিড়ানুরাগী। আন্তজেলা ব্যাডমিন্টন ও ভলিবল চ্যাম্পিয়ন।
নিজ গ্রামের দেওয়ান আব্দুর রশীদের কন্যা আল্পনা আক্তারের সাথে ১৪ মে ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে শুভ পরিনয় সূত্রে আবদ্ধ হন। সুখময় সংসার জীবনে তাদের দুই কন্যা খন্দকার সিদরাতুল মুনতাহা কানন ও ফাহমিদা আক্তার ফাইজা।